বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় ঈদে বাড়ী ফিরতেই হবে। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান অপেক্ষায় পথ চেয়ে থেকেন। নতুন জামা কাপড় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় নিম্ন আয়, মধ্য আয়ের সকল মানুষের। প্রিয়জনের সাথে দেখা হওয়ার এই একটি সময়। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়েন। এটা নাড়ির টান। আমাদের দেশের মানুষের একটি বড় আংশ জীবিকার তাগিদে ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরে অবস্থান করে। এখানে একটি কথা বলে রাখা উচিত এদের বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না তদের সাথে পরিবার রাখতে। অর্থাৎ স্বল্প আয় দিয়ে পরিবার সাথে নিয়ে থাকতে পারেন না। তাই কর্মক্ষম মানুষটী থাকেন ঢাকা বা অন্য কোন শহরে আর পরিবারের বাকী সদস্যারা থেকেন গ্রামে। এই উৎসবে তাই পরিবারের সাথে সময় কাটানো উৎসব পালন করা ছাড়া কোন অবকাশ থাকে না। আমরা বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের মানুষেরা উৎসব মানেই বুঝি আপনজনের সাথে পালন করা।
কিন্তু এবারে দেখা যাক চলমান লক ডাউন । ফ্লাইট চলছে, ব্যক্তিগত গাড়ী চলছে কিন্তু গণ পরিবহন চলছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা, অধিক ব্যয় , শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গ্রামের মুখে জনতার ঢল। করোনা মহামারি প্রকট আকার দেখেও এ যাত্রা কমতেছে না। আমাদের দেশে ঈদ এমন একটি উৎসব যা প্রিয়জদের সাথে নিয়ে হৈচৈ করে পালন করতে হয়। মানুষের গ্রামের যাওয়ার এই প্রবনতা আমদের বাস্তবতা। এ ঢল এক মাত্র সর্বাত্মক লক ডাউনের মাধ্যমেই প্রতিহত করা সম্ভব ছিল। কিন্ত্র আমদের সরকারের আর্থিক সামর্থের কারনে হয় তো তা হয়ে ওঠে নাই। তাই আমার মনে হয় কঠোর স্বাস্থ বিধি মেনে গণ পরিবহন চালু রাথা উচিত ছিল। আমদের দেশের বাস্তবতা ঈদ মানে গ্রামের বাড়ি পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ উৎযাপন ।
আবার , এই ঈদে বাড়ী ফেরা নিয়ে অনেকে হাসি মস্করা করে থাকেন । তারা জানেন না এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলো তার স্ত্রী পরিজন নিয়ে দীর্ঘ দিন পর একত্র হয়ে থাকেন এই ঈদ উপলক্ষে। অনেকের প্রিজন ( স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা সহ আরও অনেকে) এই ঈদেই নতুন পোশাক বা উপহার পেয়ে থেকে। এই নাড়ির টান অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু কিভাবে এই ঠাসাঠাসি, ভীড়, জন দুর্ভোগ দূর করা যেত সে দিকে বেশি নজর দেয়া উচিত ছিল।
1 Comments
Thanks
ReplyDelete