শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জলিল মাহমুদ।  

১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। পুরো পূর্ববঙ্গের একমাত্র বিশ্ববিদ্যলয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। শতবর্ষী এই বিদ্যাপিঠের রয়েছে অনেক গৌরব জনক ভূমিকা ও অর্জন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত এ দেশের সব গণ আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। আজ শিক্ষক ছাত্র দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির আবর্তে বসে তার ঐতিহ্য আজ ম্লান। শিক্ষক নিয়োগ ভিসি নিয়োগ সকল ক্ষেত্রেই আজ কিন্তুর অবকাশ আছে। শিক্ষার মান আজ বিশ্বের মানের সাথে তাল মিলাতে পারছে এমন জোর গলায় বলার মত সাহস আমার নেই। তবে গ্রামাঞ্চলের ও সীমিত আয়ের মানুষের মেধাবী সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জণের একটি ভরসার স্থান। জ্ঞানচর্চা আর গবেষণার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে দিনে দিনে বলতে বেগ পেতে হবে না কারো।

প্রতিষ্ঠার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে বঙ্গভঙ্গ রদ। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ায় এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অসন্তোষ লাগব করার মানসে বঙ্গভঙ্গের ক্ষতিপূরন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফলে পূর্ববঙ্গে জ্ঞান চর্চার দ্বার উম্মোচিত হয়। ১৯২১ সালে ১২ টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু। আজ ৮৪ টি বিভাগ, শিক্ষক এক হাজার নয় শত বিরানব্বই জন ও শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ( সান্ধ্য কালীন কোর্স সহ) । গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশ বিশ্বমানের করার দিকে বিশেষ মনযোগ দিতে হবে।

 

Post a Comment

0 Comments