কোভিড-১৯। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম শনাক্ত হয় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) । এর পর থেকে প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশ প্রথমে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড- অ্যাস্টজেনেকার উদ্ভাবিত টিকার ৩ কোটি ডোস সরবরাহ করার কথা ছিল ভারতীয় সেরাম ইস্টিটিউটের । কিন্ত এখন পর্যন্ত তারা ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করাছে বলে জানা গেছে। ১৫ লাখ লোক অক্সফোর্ড- অ্যাস্টজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাও সংগ্রহের ব্যপারেও বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। কবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন আসবে তা এখনও অনিশ্চিত। ভ্যাকসিন সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নতুন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। টিকা সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ যুক্ত্রাষ্ট্র, যুক্ত্রাজ্য, চীন, রাশিয়া এর দিকে হাত বাড়ায়। চীন কিছু টিকা উপহার হিসেবে পাঠালেও বড় মাপের কোন অগ্রগতি নেই।
বিশ্বের করোনা ভ্যাকসিনের শতকরা ৭৫ ভাগ মওজুদ বা সংগ্রহে রেখেছে ১০ টি দেশ। ১৩০ টি দেশ এখন পর্যন্ত টিকা পায়ই নাই। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ব্যপারে ধনী দেশ গুলোকে টিকা সম বন্টনের জন্য রাজী করানোর জন্য বিবৃতি দিচ্ছে মাত্র। এতে কাজের কাজ হচ্ছে না। এই টিকা নিয়ে বিভিন্ন কুটনৈতিক জালও বিছিয়েছে। সে যাই হোক বাংলাদেশকে তাদের দেশের উদ্ভাবিত টিকা বঙ্গভ্যাক্স নিয়ে নতুন ভাবে ভেবে চিন্তে দেখার সময় এসেছে। যদি এটি কার্যকার করা যায় তবে আমরা টিকা সংকটের অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পাব।
0 Comments